দিনটি হলো বন্ধুর জন্য

মা-বাবা কিংবা ভাই-বোনের পরে আমাদের সবচেয়ে বেশি স্মৃতি জমা হয় সম্ভবত বন্ধুর সঙ্গেই। সেই ছেলেবেলা থেকে একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, কত দুষ্টুমি, বকুনি খাওয়া। কত আনন্দময় মুহূর্ত জমা হয় আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে। বড় হতে হতে সেসব বন্ধু হয়তো কেউ কেউ হারিয়ে যায় জীবন থেকে। বড় হতে হতে পথ আর মতও আলাদা হতে পারে। তবু বন্ধুত্বের টান কি কখনো অস্বীকার করা যায়? কেবল ছেলেবেলায়ই নয়, কৈশোর কিংবা তারুণ্যেও পেতে পারেন মনের মতো বন্ধু। আর এই বন্ধুর জন্যই বছরের একটি দিন বিশেষ হিসেবে রাখা হয়, যার নাম বন্ধু দিবস।

কবে পালন করা হয় বন্ধু দিবস?

বন্ধু দিবস সারা বিশ্বে অন্য দিনে পালন করা হলেও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং বাংলাদেশে পালন করা হয় আগসট মাসের প্রথম রোববার। বন্ধু দিবসের প্রস্তাব ১৯৩৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গৃহীত হয়। এরপর ২০১১ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করার স্বীকৃতি দেয়। ২০১২ সাল থেকে ৩০ জুলাই ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়া বাকি সব দেশে আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

বন্ধু দিবস কেমন করে এলো

হলমার্ক কার্ডের প্রতিষ্ঠাতা জয়েস হল বন্ধু দিবসের প্রথম উদ্ভব করেছিলেন। ১৯৫০ এর দশকে তিনিই প্রথম বন্ধু দিবসের ধারণা দিয়েছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে তা সবাই গ্রহণ করতে শুরু করে। এখন বিশ্বজুড়ে বন্ধু দিবস ঘিরে থাকে নানা আয়োজন।

বন্ধু দিবস যেভাবে পালন করতে পারেন

বন্ধু দিবস পালনের জন্য আপনাকে যে মহা সমারোহে আয়োজন করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বন্ধুর জন্য সামান্য কিছু আয়োজনও তাকে চমকে দিতে পারে। বন্ধু তো আসলে সারা জীবন পাশে থাকারই। এদিন বন্ধুর পছন্দের কোনো উপহার তাকে দিতে পারেন। জানাতে পারেন শুভেচ্ছা। তাকে আলাদা করে বলতে পারেন আপনার জীবনে সে কতটা মূল্যবান। অথবা চাইলে আপনি বন্ধু দিবস পালন নাও করতে পারেন। তাই বলে বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা নিশ্চয়ই কম হবে না!