ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ভিপিএন -এর ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে তিনি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভিপিএন থেকে বিরত থাকি। তথ্য সুরক্ষার জন্য বিরত থাকি। ভিপিএন যে দিচ্ছে, সে পুরো তথ্য উপাত্ত পাচ্ছে। ভিপিএন চালু রেখে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আর্থিক লেনদেন করলে, গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীল তথ্য অন্যের কাছে চলে যেতে পারে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট সীমিত করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে সে সময় তিনি উল্লেখ করেছিলেন। একই দিন সন্ধ্যায় সঞ্চালন লাইনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও। ফলে দেশজুড়ে সব ধরনের ইন্টারনেট যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এমন প্রেক্ষাপটে গত মঙ্গলবার রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। এরপর গতকাল রবিবার বিকেল ৩টায় মোবাইলের ফোর-জি সেবা চালু করা হয়। ইন্টারনেট চালু করা হলেও এখনো বন্ধ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও টিকটক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি ফেসবুক, টিকটক কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। তারা বাংলাদেশের সংবিধান, আইন মানবে কি না এবং নিজেদের যে গাইডলাইন আছে, সেটা ঠিকমতো মেনে চলবে কি না, এসব নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।