জনতা ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

আমদানি-রপ্তানির নামে জনতা ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযোগপত্র অনুমোদন করে কমিশন।

রোববার (২৮ জুলাই) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিগগির অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করা হবে।

সূত্র জানায়, তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করেছেন। বর্ণিত সুপারিশের আলোকে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয় কমিশন।

আসামিরা হলেন, ঋণগ্রহীতা মেসার্স ঢাকা ট্রেডিং হাউজের স্বত্বাধিকারী মো. টিপু সুলতান। জনতা ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তা হলেন, ব্যাংকের লোকাল অফিসের এজিএম মো. মসিউর রহমান (সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার), একই শাখার ডিজিএম শামীম আহমেদ খান, ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের এজিএম এ এস জহুরুল ইসলাম, ব্যাংকটির অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মো. মনজেরুল ইসলাম (সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক, আমদানি-রপ্তানি) ও ব্যাংকটির কমার্শিয়াল অফিসার সাইফুল ইসলাম।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলসির বিপরীতে মালামাল আমদানি না করে মেসার্স ঢাকা ট্রেডিং হাউজিং লিমিটেডের হিসাব নম্বরে ২৫০ কোটি ৯৬ লাখ ১ হাজার ৪৫৫ টাকা স্থানান্তর করেন। পরে এ অর্থ পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেন তারা।

দুদক সূত্রে জানা যায়, আসামিরা জনতা ব্যাংকের মতিঝিলের স্থানীয় অফিসে ঢাকা ট্রেডিং হাউজিং লিমিটেডের নামে আমদানি-রপ্তানির এলসি খুলেও মালামাল আমদানি না করে বিপুল এ অর্থ আত্মসাৎ করেন‍।

২০১০ থেকে ২০১২ সালে এ ঘটনায় ব্যাংকটির পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটি। পরে এ ঘটনায় কমিশনের সাবেক উপপরিচালক মো. সামছুল হক বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।