জাবি শিক্ষকের পদত্যাগ নিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চাকরি হতে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিমের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তার পদত্যাগকে ‌‌‘উদ্দেশ্যমূলক ও দূরভিসন্ধিমূলক’ বলে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, ২৮-০৮-২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এমবিএ চতুর্থ ব্যাচের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা কমিটি পুনর্গঠন এবং পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের সহযোগিতার অভিযোগে তৎকালীন বিভাগীয় সভাপতি জাহিদুল করিমের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গ্রহণপূর্বক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রদানের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ৫(ক) (২) উপধারা মোতাবেক আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যার কার্যক্রম বর্তমানে চলমান থাকা অবস্থায় তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।

দীর্ঘ শিক্ষাছুটি ভোগ করার বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, জাহিদুল করিম ০৭-০৮-২০২১ তারিখ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন। ইতোপূর্বে তিনি মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্যও দুই বছর ছুটি ভোগ করেছেন। পিএইচডি এবং মাস্টার্স ছুটি মিলিয়ে তিনি ইতোমধ্যে প্রায় ৬ বছর শিক্ষাছুটি অতিবাহিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত হিসেবে জানানো হয়, জাহিদুল করিম তদন্তে শান্তির আশঙ্কা থেকে চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি উদ্দেশ্যমূলক ও দূরভিসন্ধি থেকে দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাকে কারণ হিসেবে অব্যাহতি পত্রে উল্লেখ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছেন যে, তার বিরুদ্ধে গঠিত আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলবে এবং তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর তদানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিম বর্তমানে শিক্ষাছুটিতে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। নিজ ফেসবুক ওয়ালে পদত্যাগপত্রটি পোস্ট করলেও তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

এর আগে, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লেখা এক পদত্যাগপত্রে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন তিনি।