পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষার্থীদের দখলে শাহবাগ

নতুন ঘোষিত এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪র্থ দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এদিন বিকেলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করেন তারা। তবে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করায় শাহবাগের বাইরে যেতে পারেননি শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডের চাকরিতে কোটা বৈষম্য দূর করে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম ৫ শতাংশ কোটা বহাল রেখে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে সাড়ে ৪টায় তারা মিছিল বের করেন। ৫টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন। এ সময় চারপাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, বাংলা মোটর পেরিয়ে কারওয়ান বাজার এবং ফার্মগেট অবরোধের কথা থাকলেও পুলিশের বাধায় সেটি হয়নি।

শাহবাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’, ব্লকেড ব্লকেড, বাংলা ব্লকেড’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার”, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন৷

গত ৬ জুলাই শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, মহাসড়ক অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। যাকে “বাংলা ব্লকেড” হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যে কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুইদিন  শাহবাগ, চানখারপুল, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, বাংলা মোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মিন্টু রোড, মৎস্য ভবন, অবরোধ করেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ইডেন ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট-সাইন্সল্যাব রোড অবরোধ করেন।

কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের ১ দফা দাবি হলো: সকল গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে৷