হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় রাজি নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি বিষয়ক আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন। এবারের আলোচনায় ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। বার্তাসংস্থা আলজাজিরা থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাকে জানিয়েছেন, তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে একটি নতুন প্রতিনিধি দল গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ’ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু। হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিসর। কাতারের মাধ্যমে গত মার্চ মাসে ইসরায়েলের কাছে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল হামাস। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ইসরায়েল যদি গাজা থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে নিজেদের হাতে থাকা অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এই জিম্মিদের ধরে এনেছিল গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী এই রাজনৈতিক গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা। শুরুর দিকে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, গাজায় অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর মূল লক্ষ্য হামাসকে পুরোপুরি গুড়িয়ে ফেলা। তবে সম্প্রতি হামাসের সেই প্রস্তাব নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন নেতানিয়াহু। রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে নেতানিয়াহুর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তাদের সঙ্গে সম্প্রতি তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর।