আজ চার বিভাগে হতে পারে ভারি বৃষ্টি

আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে আজ চার বিভাগে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার পর্যন্ত দেশের সব বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে।

চলতি মাসের ৮ জুলাই থেকে বৃষ্টি ধীরে ধীরে কমতে পারে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও হতে পারে ভারি বর্ষণ। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত সোমবার কক্সবাজার ও তিন সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত বহাল রাখতে বলেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেটি নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের অন্তত ৫০ জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে, ৯৪ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে এটি অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটার বা বেশি) বৃষ্টিপাত।

দেশের আরো কয়েকটি জেলায় অতি ভারি বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীতে এ সময় ৩১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদী ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে, ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।চলতি মাসে বন্যার আশঙ্কা : আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি ভারি বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-মধ্য ও মধ্যাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে এ সময়। তবে বর্ষা চললেও চলতি মাসে দেশে বিচ্ছিন্নভাবে এক থেকে দুটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি) থেকে মাঝারি (৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রাও থাকতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি।