বর্ষায় চুলের ক্ষতি থেকে নিস্তার পেতে যা করবেন

বর্ষাকাল মানেই হঠাৎ বৃষ্টি আর ভাপসা গরম। অনেকের কাছে অলস সময়ে খিচুড়ি খাওয়া অথবা সিনেমায় বুদ হওয়ার নাম বর্ষা। তবে বর্ষাকাল ত্বক আর চুলের জন্য কিছুটা বৈরীই বটে। বৃষ্টির পানিতে মিশে থাকা ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদান থাকে।
যা চুলের সংস্পর্শে এলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। ঝট দেখা দেয়। তবে কিছু টিপস মেনে চললে  বর্ষায় চুলের ক্ষতি থেকে নিস্তার পেতে পারেন।
সপ্তাহে শ্যাম্পু তিনবার
বর্ষার ভাপসা গরমে মাথার ত্বক ঘেমে যায়।
চাই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল শ্যাম্পু
বৃষ্টির মৌসুমে চুলে ও মাথার ত্বকে ব্যাকটেরিয়া,  ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। এ জন্য অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। বাজারেই পাবেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল শ্যাম্পু।
এই জাতীয় শ্যাম্পু মাথার ত্বক ও চুল গভীর থেকে পরিষ্কার করে। সহজেই চুল ময়লামুক্ত রাখে। সংক্রমণ রুখে দেয়।
উজ্জ্বল ও ঘন চুল পেতে
ভেজা চুল এমনিতেই নেতিয়ে থাকে। বর্ষাকালে চুলের এই হাল আরো বৃদ্ধি পায়। এ জন্য চুল উজ্জ্বল ও ঘন করতে প্রাকৃতিক প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। চুলের জন্য শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও হেয়ার মাস্ক তো কিনবেনই। তবে কেনার আগে খেয়াল করুন তাতে ডাবের পানি, এলোভেরা, রিঠা, নারকেলের মতো নানা পুষ্টিগুণ আছে কিনা। উপকারি এসব উপাদান চুলকে ভেতর থেকে মজবুত, ঘন ও উজ্জ্বল করে তুলবে।বাদ
নয় কন্ডিশনার
বর্ষাকালেই সাধারণত চুলের রুক্ষতার সমস্যা বেশি দেখা যায়। এটা দূর করতে প্রতিবার শ্যাম্পুর পর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে হবে। ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক কন্ডিশনারও ব্যবহার করতে পারেন।
চুল ঘষে মুছবেন না
তাড়াহুড়োর ফল কখনোই ভালো হয় না। বর্ষা হোক শীত, গ্রীষ্ম কখনোই চুল তোয়ালে দিয়ে জোরে ঘষে ঘষে মুছবেন না। এতে চুলের রুক্ষতা আরো বেড়ে যায়, চুল ভেঙে ঝরে যায়, ডগা ফেটে যায়। চুলে ঝট পাকে। ভেজা চুল নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছে নিতে হবে।মোটা দাঁড়ার চিরুনি ভালো
হেয়ার ব্রাশ বা চিরুনির ব্যাপারে অনেকেই তেমন মনোযোগী নন। এটা চুলের জন্য মোটেও ভালো অভ্যাস নয়। ভালো চিরুনি চুলের জন্য মোক্ষম অস্ত্র। চুলের জট ছাড়াতে মোটা দাঁতের কাঠের চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। কাঠের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে চুল ভাঙে কম, রুক্ষতাও কমে। ভেজা অবস্থায়  চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন। আগে ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।