ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন ও বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ খোদ বোর্ড চেয়ারম্যান কাছ থেকে উত্থাপিত হওয়ায় সেগুলো এড়িয়ে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যম ও নির্ভরযোগ্য গবেষণায় ঢাকা ওয়াসায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠে এসেছে, তার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত-সাপেক্ষে দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জোর দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (১৯ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় টিআইবি। এতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, ঢাকা ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে ও গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিমের বিরুদ্ধে সংস্থাটিকে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অনিয়ম, অপচয় ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করার পাশাপাশি ওয়াসা বোর্ডকে অকার্যকর রাখার অভিযোগ এনেছেন। যা দীর্ঘসময় ধরে সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন ও সুনির্দিষ্ট গবেষণার মাধ্যমে জনসমক্ষে উঠে আসছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বোর্ডকে অকার্যকর করা ও ওয়াসাকে অনিয়ম-দুর্নীতির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিণত করার যে অভিযোগ খোদ বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছ থেকেই এখন জানা যাচ্ছে, তা ২০১৯ সালে টিআইবি প্রকাশিত ‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফলের-ই প্রতিফলন। ওয়াসায় দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ফলে জনগণকে প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি স্বেচ্ছাচারিতার ক্রমবর্ধমান মাশুল গুনতে হচ্ছে। তার প্রতিও টিআইবি তার গবেষণালব্ধ বিশ্লেষণ অনুযায়ী বিভিন্নভাবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বলা বাহুল্য, অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।’
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন সময়ে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার’ ঘোষণাকে অর্থবহ করতে ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সময়ে উত্থাপিত ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট সকল যোগসাজশকারীর বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রতিষ্ঠানটির সচেতনতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান জানায় টিআইবি।