জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো জুমার নামাজ। জুমার আজান হয়ে যাওয়ার পর দুনিয়াবি সব কাজকর্ম বাদ দিয়ে মসজিদে চলে যাওয়া ওয়াজিব। কুরআনে আল্লাহ মুমিনদের নির্দেশ দিয়েছেন জুমার নামাজের জন্য ডাকা হলে অর্থাৎ জুমার আজান হয়ে গেলে সব দুনিয়াবি ব্যস্ততা, বেচাকেনা, লেনদেন বাদ দিয়ে দ্রুত আল্লাহর দিকে অগ্রসর হতে। আল্লাহ বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الۡبَیۡعَ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
জুমার নামাজের জন্য দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত এসেছে হাদিসেও। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে আগমণকারীদের নামে সওয়াব লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যাক্তির মতো যে একটি মোটাতাজা উট কোরবানি করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে যে আসে সে ওই ব্যাক্তির মতো যে একটি গাভী কোরবানি করে। পরের পর্যায়ে যে আসে সে মেষ কোরবানিদাতার মতো। তারপরের পর্যায়ে আগমণকারী মুরগি দানকারীর মতো। তারপরের পর্যায়ে আগমণকারী একটি ডিম দানকারীর মতো। তারপর ইমাম যখন বের হন তখন ফেরেশতারা তাদের খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগের সাথে খুতবা শুনতে থাকেন। (সহিহ বুখারি: ৯২৯)
তাই জুমার দিন আমরা যেন যত দ্রুত সম্ভব জুমার নামাজে উপস্থিত হই। ব্যস্ততা থাকলেও জুমার খুতবা শুরু হওয়ার আগে যেন অবশ্যই মসজিদে উপস্থিত হতে পারি। উল্লিখিত হাদিস অনুযায়ী জুমার খুতবা শুরু হলে সওয়াব লেখা বন্ধ হয়ে যায়, ফেরেশতারা খাতা বন্ধ করে জুমার খুতবা শুনতে বসে যান।