‘মা’ কথাটি খুব ছোট অথচ ঐ শব্দই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম শব্দ। মায়ের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও স্নেহের সঙ্গে অন্য কোন সম্পর্কের তুলনা চলে না। মায়ের স্পর্শেই সন্তান ধীরে ধীরে পূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠে। পৃথিবীর সব ধর্মেই মায়ের মর্যাদাকে উচ্চাসীন করেছে। সন্তানের কাছে মা ফেরেশতার মতো। তিনি সব সময় সন্তানের মঙ্গল কামনায়রত। সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সন্তান যাতে ভালোভাবে বড় হতে পারে, মানুষের মতো মানুষ হতে পারে এ ধ্যানে ‘মা’ মগ্ন থাকেন। তাই তো কবি বলেছেন, মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জেনো ভাই, তার চেয়ে অধিক মধুর ত্রিভূবনে নাই। মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের জন্যই প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার একটা বিশেষ দিন পালিত হয়। সেটা হলো বিশ্ব মা দিবস। পুরো বিশ্বে দিবসটি পালিত হয় মায়ের প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে। মায়ের প্রতি সীমাহীন শ্রদ্ধা, সন্তানের চিরন্তন, অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসায় অবনত হওয়ার দিন হচ্ছে আজকের মা দিবসের চেতনা। ১৯০৮ সালে সর্বপ্রথম মা দিবস উদযাপন করেছিলেন আন্না জার্ভিস নামে এক ব্যক্তি। পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় নিজের মায়ের স্মৃতি রূপে এই বিশেষ দিনটি উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। বিশেষ দিনটি বিশ্বজুড়ে মাতৃত্ব ও মাতৃসত্তার গুরুত্ব এবং তাৎপর্য স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের আবারও একবার স্মরণ করিয়ে দেয় পৃথিবীতে আমাদের পদচারণার মূল কান্ডারিকে। সন্তানের জন্য সব থেকে বেশি যে আত্মত্যাগ করতে পারে সেই নামটিই হলো মা। স্বার্থপর এই দুনিয়াতে নিঃস্বার্থভাবে শুধু মাই আমাদের ভালোবাসতে পারেন। যদিও মার সঙ্গে মনোমালিন্য হয়নি এমন পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে এই মনোমালিন্য আজ মিটিয়ে নিতে পারেন। দিনটি আজ মায়ের সেবা করার কাজেও লাগাতে পারেন। করতে পারেন তার জন্য বিশেষ রান্নাও। যদি ব্যক্তিগত কিংবা কাজের সূত্রে মায়ের কাছ থেকে আজ অনেকটা দূরে থাকেন তবে ফোন করে কিছুক্ষণ কথা বলে সময় কাটাতে পারেন তার সঙ্গে। যদিও অনেকেই মনে করেন মাকে ভালোবাসার জন্য বিশেষ এই দিনটির প্রয়োজন নেই। কারণ প্রতিদিনই মাকে ভালোবাসার দিন হওয়া উচিত।একুশে টেলিভিশন