গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩৪৮৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি। এবার রাফা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। ইতোমধ্যেই রাফা ক্রসিং নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েল।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি ইসরায়েলকে আক্রমণাত্মক অস্ত্র সরবরাহ করবেন না। ইসরায়েল রাফায় সর্বাত্মক আক্রমণ চালাতে এসব অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আতঙ্কিত, ক্লান্ত এবং একই সঙ্গে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাফা থেকে পালাতে শুরু করেছে। ইসরায়েল সেখানে হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই এসব নিরীহ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, হামাস এবং ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির থেকে খুব বেশি দূরে নয় এবং একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য যা করতে হবে তাদের তাই করা উচিত।

রাফায় যেন পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ না চালানো হয় সেজন্য ইসরায়েলকে শাসিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে আক্রমণ চালায় তবে তিনি তাদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন। হামাসের সঙ্গে সংঘাত চলাকালীন প্রথমবারের মতো এটাই ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা।

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মার্কিন বোমা নিক্ষেপের ফলে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানিয়েছেন বাইডেন।

রাফা শহরে ইসরায়েল বড় ধরনের হামলা চালাতে প্রস্তুত এমন উদ্বেগ থেকে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে বোমার একটি চালান বন্ধ করার পরেই নতুন করে সতর্কবার্তা দেওয়া হলো।

ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন বলেন, যদি তারা রাফায় হামলা চালায় তবে আমি তাদের অস্ত্র সরবরাহ করবো না। রাফায় হামলা চালানোর জন্য যেসব অস্ত্র এবং কামানের গোলা ব্যবহার করা হয়েছে তা সরবরাহ করব না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি রাফায় আক্রমণ করবেন। ব্যক্তিগতভাবে বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত নন। তিনি রাফায় হামলা চালানোর পক্ষপাতি নন।

ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসন এবং নিজ দলের মধ্যেও বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে। সে কারণেই গত সপ্তাহে অস্ত্রের এক চালান ইসরায়েলে পাঠানো হয়নি।