বিশ্বব্যাপী করোনা প্রতিরোধী টিকা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। সংস্থাটি জানিয়েছে, বাণিজ্যিক কারণে তাদের তৈরি করোনা-প্রতিরোধী টিকা বাজার থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এই টিকা আর তৈরি বা সরবরাহ করা হচ্ছে না বলেও জানানো হয়।
২০২০ সালে মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসময় অক্সফোর্ডের সঙ্গে গবেষণা করে কোভিড-১৯ প্রতিষেধক দুটি টিকা বানায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। যা মহামারির মধ্যে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
পরে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ আসে অনেক। এই অভিযোগ মামলা পর্যন্ত গড়ায়।
গত কয়েক মাসে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর সামনে আসে। অনেকেরই রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়ার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এমন পরিস্থিতিতে, নিজেদের করোনা টিকা সারাবিশ্ব থেকে প্রত্যাহার করছে সংস্থাটি। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বাজারে বর্তমানে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদা নেই।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বর্তমানে মূল করোনাভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার পাশাপাশি এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টও দুর্বল হয়ে গেছে। আর এ কারণে করোনা ভাইরাসের এসব টিকা এখন অতিরিক্ত।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা এরইমাঝে গোটা বিশ্ব বাজার থেকেই ভ্যাক্সজেভরিয়া তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অবশ্য অন্যান্য দেশ ইতিমধ্যে এই টিকা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক বছরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩শ’ কোটি করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। এসব টিকার ডোজ প্রাণ বাঁচিয়েছে বিশ্বের ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের।