দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দিন: প্রবাসীদের প্রধানমন্ত্রী

দেশের সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে সব ধরনের ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কিছু লোক দেশের অগ্রগতি ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা চায় না। তারা এখন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেশের সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে।

গতকাল রবিবার বিকেলে জার্মানির মিউনিখে প্রধানমন্ত্রী তাঁর আবাসস্থলে ইউরোপ প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেসব দেশে অবস্থান করছেন, সেসব দেশের রাজনীতিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বিদেশি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সারা বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বেশ কয়েকটি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি বাংলাদেশি প্রবাসীদের বাংলাদেশে ব্যক্তিগতভাবে বা বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশ এবং এর জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন।

গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা

ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত শনিবার জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা। তাই আমরা কখনোই এটিকে সমর্থন করি না।’ তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের জনগণের বেঁচে থাকার ও তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের অধিকার রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গাজার জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার আছে।

সেখানে যা ঘটছে, তা খুবই দুঃখজনক। তাই আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা এবং এই আক্রমণ ও যুদ্ধ বন্ধ করা।’আনাদোলু লিখেছে, অবরুদ্ধ গাজায় বাংলাদেশ সাহায্য পাঠিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা নারী, শিশুসহ ফিলিস্তিনের জনগণকে সমর্থন আর সাহায্য পাঠাতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর পরিকল্পিত অভিযান নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমন আক্রমণকে বাংলাদেশ কখনোই সমর্থন করবে না। ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকার থাকা উচিত, এর কোনো বিকল্প নেই।’

সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘ যে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের কথা বলেছে, সেই রেজল্যুশন বাস্তবায়ন হওয়া উচিত বলেও মনে করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘১৯৬৭ সালের জাতিসংঘ প্রস্তাবে দুটি রাষ্ট্রের তত্ত্ব রয়েছে, এটি বাস্তবায়ন করা উচিত।’ সূত্র: বাসস