বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যাথা নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি তর্জন গর্জন মাত্র। বিএনপিকে নিয়ে আমাদের অত মাথাব্যথা নেই। আন্দোলন করতে জনগণ থাকতে হয়। নেতাকর্মী দিয়ে হয় না।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ এবং বাকশাল-২ কায়েম করা নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা এরকম কোন চিন্তা করিনি। তারা নিজেরাই করছে। এছাড়া বিএনপিকে নিয়ে অত মাথাব্যথা নেই। বিএনপি আন্দোলনে মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। বিএনপি মুখে যা বলেছে তা করে দেখাতে পারেনি।’
তিনি বলেন, দেশে আন্দোলনের বস্তুগত কোন ইস্যু নির্বাচনের আগেও ছিল না, এখনো নেই। বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতির ধারার কারণে তারা ভুল করেছে। দল চোরাবালিতে আটকে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ কার্যকরে কোন বাধা নেই। সরকারের সমালোচনায় সংসদে বিরোধী দল আছে, স্বতন্ত্ররাও আছে।
সংসদ কেন কার্যকর হবে না? বাধাটা কোথায়? এমন প্রশ্ন রেখে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হয়েছে। যেখানে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট গ্রহণ হয়েছে। পৃথিবীর বহু দেশেই ভোট গণনার দিক দিয়ে বাংলাদেশে ভোট গণনা কম হয়েছে সেটা বলার কোন সুযোগ নেই। নির্বাচনে ২৮ টি দল অংশ নিয়েছে। একটা বিরোধী দলও আছে। জাতীয় পার্টি সংসদের ইতিমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছে। সংসদে বিরোধী দল আছে এমনকি স্বতন্ত্ররাও আছেন। তারা প্রয়োজন মনে করলে সরকারের সমালোচনা করতে পারেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদে স্বতন্ত্ররা আছে, বিরোধীদল তো আছেই। সংসদ কার্যকরে এখানে কোন অন্তরায় নেই।
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলাসহ ১৩ জন সদস্য নিয়ে জাতীয় পার্টি কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা রাখতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংসদে আগে দেখতে দিন।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।