আলোচনায় তিশাঃ একটা ছেলে বা মেয়ে যেকোনো পরিবারে বেড়ে উঠবে স্বাভাবিক ভাবে, এটাই নিয়ম। আমাদের সমাজে মা বাবা সেই স্বাধীনতাটুকু কে কীভাবে দিচ্ছেন, সেটাই দেখার বিষয়। কথা বলছি তিশাকে নিয়ে। এই মেয়েটাকে কতুটুকু সময় মা বাবা দিয়েছেন, কখনো জানতে চেয়েছেন – তার মন খারাপ কেনো, তার কোন বন্ধু-বান্ধবি ভালো, কে বাসায় আসতে চায়, জন্মদিনে দাওয়াত দাও, বিশেষ অকেশনে আসতে বলো, নাকি এমনটা হয়েছে কারোর সাথে মেশা যাবেনা, বাসায় আনা যাবেনা। আনন্দের কথা মাকে বলতে গেছে, ধমক খেয়ে মেয়ে বিকল্প চিন্তা করেছে। আমিও দুই মেয়ে বড় করেছি, সুখে দুঃখে পাশে থেকেছি, মা এটা না বুঝলে সমস্যা তো হবেই। আমার মনে হয়েছে এতোটাই শাসন করেছে মেয়ে কূল হারিয়ে ফেলেছে। ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা নিতে হয়।
প্রসঙ্গ তিশাঃ অনেকেই বলবেন মা বাবা কখনো ভালোবাসা কম দেয়না, আমিও বলবো একমত। কিন্তু ধরন আলাদা – কেউ দেয় শাসন করে, কেউ দেয় আদর করে। মা বাবার জন্য সন্তান খারাপ হয়। একটা সন্তান নিষ্পাপ হয়ে দুনিয়াতে আসে। মা বাবার বেশি টাকা, বেশি শিক্ষাই বেশি বুঝার কারন। বাচ্চাদের সময় দিন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পক গড়ে তুলুন, মন থেকে কথা বের করে আনুন, হাসুন গল্প পড়ে। কিছু একটা হলে মোবাইলের দোষ দেয়া – এটা বন্ধ করুন। কে কিভাবে ব্যবহার করছে সেটা জানুন বুঝুন, বোঝানোর চেস্টা করুন। তিশার আচরনঃ মেয়েটার ভয়ংকরভাবে বদলে যাওয়ার পিছনে এমন কোনো কারন রয়েছে যেটা এখন ও বের হয়নি। ঐশি বদলে গেছিলো কেনো কম আর বেশি সবাই জানি।অনেকে বলবেন তিশাকে নিয়ে কথা বলছি কেনো? কারন আমি একজন মেয়ে, সুখ দুঃখ আমারও ছিলো, কাউকে না কাউকে বলতে হবে, বলেছি, এই মেয়েটা বলতে পারেনি।
তিশার বদলে যাওয়াঃ এটা দেখে মা বাবারা সচেতন হন, কে কিভাবে বাচ্চাদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরন করবেন ভাবুন। সময় থাকতে ভাবুন, সময় চলে গেলে ভেবে লাভ হবেনা। আমার যা মনে হয়ে তাই বলেছি, আপনাদের মতামত কী? কোনো ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
লিখেছেনঃ ফাহিমা আকতার