প্রতারণা মামলায় ৩৫৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা ট্রাম্পের

প্রতারণা মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ট্রাম্প অর্গানাইজেশনকে প্রায় ৩৫৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। তবে ট্রাম্পকে অবিলম্বে এই অর্থ দিতে হবে না। কারণ এ ব্যাপারে আপিলের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। খবর: রয়টার্স, বিবিসির।

নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার এই রায় দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, রায়ে ট্রাম্পকে তিন বছরের জন্য নিউ ইয়র্কের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণে নিষিদ্ধ করা হয় এবং নিউ ইয়র্কের কোনো করপোরেশনে তাকে অফিসার বা পরিচালক হিসেবে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শেষ অবধি তিনি যদি এই অর্থ প্রদানে বাধ্য হন তাহলে তার পূর্বতন বিচারের রায়ের উপরে এই রায় তার অর্থ সম্পদকে নাটকীয়ভাবে হ্রাস করবে। তাছাড়া একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে তার ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হবে। বিচারপতি আর্থার এনগোরন মামলাটির ৯২ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণা করেন। এই রুলিং নিউ ইয়র্কের ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম করপোরেট রায়।

তবে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। তবে তার আগে সম্ভবত ৩৫৪.৯ মিলিয়ন ডলার জমা দিতে হবে।রায়ে ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তার ওপরও নানা শাস্তিমূলক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্পের দুই ছেলের ওপরও প্রায় একই ধরনের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

বিচারপতি তার রায়ে আইন লঙ্ঘনের চার বছর পরও তাদের ভুল স্বীকার না করার জন্য ট্রাম্প, তার দুই প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে এবং দুই কর্মকর্তাকে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনা করেন। এই রায়ে খুশি হয়েছেন নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস। তিনি বলেন, এতে রাজ্য, দেশ এবং সবার জন্য সমান সুযোগে বিশ্বাসীদের জয় হয়েছে। তিনিই ২০২২ সালে এই মামলা দায়ের করেছিলেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অব্যাহত প্রতারণা, ব্যবসায়িক তথ্যে মিথ্যা ভাষ্য দেয়া, ভুল ব্যবসায়িক তথ্য দিয়ে ষড়যন্ত্র করা, ভুল অর্থবিবরণী প্রকাশ করা, বীমা প্রতারণা, বীমা প্রতারণা নিয়ে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ট্রাম্পের সম্পত্তির পরিমাণ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেখা হয়। এরফলে তিনি বীমা এবং অন্যান্য সুবিধা লাভ করেছেন।