রাহুলের শাস্তি হল, এখন বিজেপি নেত্রী খুশবুর কি হবে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মন্তব্য করে দণ্ডিত হয়ে পার্লামেন্ট সদস্য পর হারাতে হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। এরপরপরই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল খোদ বিজেপের এক নারী নেত্রীর মন্তব্য। ২০১৮ সালের টুইট করা সেই মন্তব্য তাঁকে এখন চুলার টগবগে ফুটন্ত পানিতে ফেলেছে। তবে খুশবু তখন কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন।

তিনি বলেছিলেন মোদির নাম পাল্টে দুর্নীতি রাখা উচিত। টুইটে লিখা ছিল, ‘ সব জায়গায় মোদি, কিন্তু এটা কী? ‘মোদি’ পদবি দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

হিন্দিতে লেখা সেই টুইটের অর্থ ছিল, ‘এখানে #মোদি, ওখানে #মোদি, যেখানে দেখ, #মোদি। কিন্তু #মোদি.. আসলে কি? প্রতিটি #মোদি শব্দের আগে ভ্রষ্টাচার লেগে আছে…#মোদি মানে #ভ্রষ্টাচার। চল #মোদি নামের অর্থ পাল্টে দুর্নীতি করে দেই…এটা ভালো যাবে। নিরব#ললিত#নামো=দুর্নীতি।’

নিজের পুরোনো টুইট ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় খুশবু বলেছেন, কংগ্রেস তাঁর পুরোনো টুইট সামনে আনতে উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘কংগ্রেস পার্টি আমার একটি পুরানো টুইট তুলে ধরে দেখাচ্ছে, তারা কতটা মরিয়া।

কংগ্রেস পার্টিতে থাকা অবস্থায় করা ‘মোদি’কে নিয়ে করা ওই টুইটের জন্য আমি মোটেও লজ্জিত নই। আমি তখন শুধু নেত্রীকে অনুসরণ করতাম এবং দলের ভাষায় কথা বলতাম।’

চার বছর আগে, ২০১৯ সালে কর্নাটক রাজ্যের কোলার শহরের লোকসভা নির্বাচনী প্রচারের সময় রাহুল ‘মোদি’ পদবি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘চৌকিদার চোর’। তিনি বলেছিলেন, ‘সব মোদিরা কেন চোর হয়’। সব চোরের কীভাবে অভিন্ন পদবি মোদি হয়। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে বিজেপির বিধায়ক ও গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পুরনেশ মোদি মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করেন, রাহুলের এই বক্তব্যের মাধ্যমে ‘মোদি’ পদবির সব মানুষের অপমান হয়েছে।

এ মামলায় ২৩ মার্চ রাহুলকে দুই বছরের সাজা দেন ভারতের আদালত। পরে তাঁর লোকসভা সদস্য পদ খারিজ হয়ে যায়।

এরপরই কংগ্রেসের সমর্থকেরা খুশবুর ওই টুইটের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। তারা সেখানে বিজিপের বিধায়ক ও গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পুরনেশ মোদির কাছে জানতে চেয়েছেন, তিনি এখন খুশবু সুন্দরের বিরুদ্ধে মামলা করবেন কি না?