ভারতের প্রভাবশালী সাময়িকী আউটলুক ইন্ডিয়া বর্তমান বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদনটি লিখেছেন সীমা গুহ। ‘বাংলাদেশ: শেখ হাসিনা কি জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হতে পারবেন?’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে সীমা গুহ পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ওপর বিরোধী দল, যুক্তরাষ্ট্র ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের চাপ থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের কোনও আগ্রহ এখনও দৃশ্যমান নয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারত প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কিছু বলেনি এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটির প্রতি সমর্থন থাকবে দিল্লির।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ জানুয়ারিতে যখন আরেকটি বিক্ষোভপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। রাজপথে প্রতিদ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলগুলোর লড়াইয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের ওপর প্রচণ্ড চাপ থাকলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বিরোধীদের দাবি মানবে না। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে, ১৫ বছরের শাসনামলের ইতিবাচক রেকর্ড তাকে আবার ক্ষমতায় নিয়ে আসবে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৯০ দিন আগে পদত্যাগ না করায় তা বর্জন করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও রাজপথে সহিংসতার জন্য ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছিল দলটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বিএনপি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে তাদের সমর্থকরা যেন সহিংস না হয়ে ওঠে। কিন্তু ২৮ অক্টোবর সহিংসতায় এক পুলিশ সদস্য ও বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগের জন্য শেখ হাসিনাকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে আসছে ওয়াশিংটন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল এবং আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি কখনোই উষ্ণতা দেখায়নি। এখন দেশটিতে চীনের উপস্থিতি ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী দল বিএনপিকে সমর্থন দিতে চায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালে বিএনপির নির্বাচন বয়কট করা ছিল কৌশলগত ভুল। বিএনপি ও তাদের জোট মিত্র জামায়াতে ইসলামী ওই সময় রাজপথে নজিরবিহীন সহিংসতার জন্ম দিয়েছিল। এবারও বিএনপির নির্বাচন বয়কটের কৌশল সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের অংশ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এবিএন