দেশের উন্নয়ন দেখতে না পাওয়ায় বিএনপি-জামায়াত নেতাদের চোখের চিকিৎসা করাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াতের চোখে পড়ে না। আসলে তারা অন্ধ। চোখের চিকিৎসায় আধুনিক চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। মাত্র ১০ টাকায় সেখানে চিকিৎসা নেওয়া যায়। তাদের (বিএনপি) অনুরোধ করবো, সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। তাদের চোখের দোষ না, এটা তাদের মনের অন্ধকার। এদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। তারা ধ্বংস জানে, সৃষ্টি জানে না। তারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারে।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বড় বাজেট দিয়ে আমাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছি এবং বাস্তবায়নও করেছি। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে। আমদানি ব্যয় বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আছে। এজন্য সবাইকে বলবো, যতটুকু জমি আছে সেখানে কিছু না কিছু চাষাবাদ করুন। নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করুন। তাহলে আমরা হতে পারবো স্বনির্ভর।
রেলে সেবার মান বাড়ানো হবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, রেলে কক্সবাজার আসা যাবে, এটা অনেকের আকাঙ্ক্ষা ছিল। আমরা করে দিয়েছি। যমুনা নদীর ওপর পৃথক রেল সেতু করছি। রেলমন্ত্রীর বাড়ি পঞ্চগড়, সেখান থেকে যেন সরাসরি কক্সবাজার আসতে পারে, সে ব্যবস্থা তো করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন থেকেও যেন ট্রেনে আসা যায় তাও করবো। আমাদের পদ্মার ওপাড়ের লোকেরাও রেলে কক্সবাজার আসতে পারবেন। খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন আবার চালু করছি। সমগ্র বাংলাদেশ থেকে যেন কক্সবাজার আসা-যাওয়া করা যায়, সে ব্যবস্থা করছি। রেলেও ওয়াইফাই কানেকশন দিয়ে দেবো। রেলে সেবার মান বাড়বে।
প্রতিটি সরকারি স্থাপনা যত্নের সঙ্গে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে আমরা যে কাজগুলো করেছি, সবগুলো ব্যবহারে যত্নবান হবেন। আধুনিক রেলস্টেশন করে দিয়েছি। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এসে যেন দেখে যে, বাংলাদেশে উন্নত ও সুন্দর রেলস্টেশন আছে। রেল গাড়িগুলো যেন পরিষ্কার থাকে, যত্রতত্র ময়লা না হয়। নিজেদের সম্পদ মনে করে ব্যবহার করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, রেল অবহেলিত ছিল। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ যারা তুলেছিল, তাদের পরামর্শ ছিল- দেশে রেল চলবে না, রেল ভায়াবল হবে না। আমরা উদ্যোগ নেই। এ পর্যন্ত ৮৭৩ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ২৮০ কিলোমিটার রেল লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর করা হয়েছে। এভাবে আমরা সব যায়গায় রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছি।