রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন শুরু হয়েছে। রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১২ টা থেকে ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত এই আবেদন শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা আগামী ১৫ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। চূড়ান্ত আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক বিমল কুমার প্রামানিক। বিমল কুমার প্রামানিক জানান, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য থেকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭২ হাজার পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে। চূড়ান্তভাবে ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের জন্য ১ হাজার ৩২০টাকা (চার্জসহ) ফি এবং ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ১০০ টাকা দিয়ে আবেদন করতে হবে ভর্তিচ্ছুদের। আইসিসি সেন্টারের পরিচালক জানান, ‘এ’ ইউনিটে (মানবিক) আবেদনের জন্য বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখা হতে নূন্যতম জিপিএ-৫ থাকতে হবে। এছাড়া মানবিক শাখার শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৪.৫৮ হলে আবেদন করতে পারবেন। ‘বি’ ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা) আবেদনের জন্য মানবিক শাখা থেকে ন্যূনতম জিপিএ-৫ থাকতে হবে। বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার সবাই আবেদন করতে পারবেন। ‘সি’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শাখা তিনটি শাখায় ন্যূনতম জিপিএ-৫.০০ থাকতে হবে। তিনি আরও জানান, প্রতি ইউনিটে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৭২ হাজার পূর্ণ না হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ১৭ থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে হবে। এ পর্যায়েও শিক্ষার্থী সংখ্যা অপূর্ণ থাকলে তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। তারা আগামী ২৬ থেকে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। সর্বশেষ চতুর্থ দফায় ১ ও ২ মে চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ১৫ মার্চ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন শুরু হয়ে ২৭ মার্চ শেষ হয়। তিনটি ইউনিটে মোট আবেদন জমা পড়ে ৪ লাখ ১ হাজার ৪১৪টি। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬১০টি, ‘বি’ ইউনিটে ৯৮ হাজার ৬৪৪টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ১ লাখ ৯৪ হাজার ১৬০টি আবেদন পড়েছে। তবে স্বতন্ত্র আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৩ টি। আগামী ২৯ মে বিজ্ঞান ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা। ৩০ মে মানবিক ‘এ’ ইউনিট এবং ৩১ মে বাণিজ্য ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষায় ৮০টি প্রশ্ন থাকবে। সময় ১ ঘণ্টা। প্রতি চারটি ভুল উত্তরের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে।