ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে বক্তব্য সংশোধন করলো আবহাওয়া অফিস

পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে দেয়া বক্তব্য সংশোধন করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। সংস্থাটি প্রথমে শাওয়াল মাসের চাঁদের স্থানাঙ্ক প্রকাশ করে বলেছিল, শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা যাবে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সেই স্থানাঙ্কের প্রতিবেদনটি আবহাওয়া অধিদফতের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। পরে রাতেই চাঁদের স্থানাঙ্ক উল্লেখ করে অধিদফতরের প্রথম শ্রেণির পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চাঁদ পর্যবেক্ষণের নির্দেশনা দিয়ে আরেকটি ‘প্রশাসনিক মেসেজ’ জারি করা হয়। এতে ২১ এপ্রিল চাঁদের অবস্থা তুলে ধরে ‘বাংলাদেশ থেকে চাঁদ দেখা যাবে’ পরিবর্তন করে বলা হয়, ‘চাঁদের অবস্থানগত কারণে আকাশ মেঘমুক্ত থাকা সাপেক্ষে বাংলাদেশে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।’ চাঁদের স্থানাঙ্ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সূর্যাস্তের সময় চন্দ্র তিথির দ্বিতীয়া। সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে এক দশমিক ৩৪০৫ দিন। চাঁদ দেখার নির্ধারিত সময় ৬টা ২৫ মিনিট থেকে ৭টা পর্যন্ত। সান্ধ্যকালীর গোধূলীর সময় চাঁদের স্থায়িত্ব হবে ৫৩ মিনিট ৮ সেকেন্ড। একইসঙ্গে চাঁদের অ্যাজিমাথ (দিগংশ) ও অলটিটিউড (উচ্চতা) প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ‘চাঁদ দেখা যাবে’ বলে সুনির্দিষ্ট করে বলায় বিষয়টি নিয়ে সরকারের মধ্যে সমালোচনা হয়। কারণ চাঁদ দেখার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি, ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী যে কমিটির সভাপতি। ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, চন্দ্র মাস শুরু হাওয়ার ক্ষেত্রে খালি চোখে চাঁদ দেখার শর্ত রয়েছে। আর তাই আবহাওয়া অধিদফতর চাঁদ দেখা নিয়ে তাদের বক্তব্যে সংশোধন আনে। এদিকে শাওয়াল মাসের চাঁদ ও ঈদুল ফিতরের দিন নির্ধারণে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বৈঠকে বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে (বাদ-মাগরিব) বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এই সভা বসবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।