হোয়াইট হাউসের ক্ষমতার পালাবদলের মধ্য দিয়ে বহির্বিশ্বে মার্কিন সংবাদ সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ফিরে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে ভয়েস অব আমেরিকাসহ (ভিওএ) রাষ্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত সম্প্রচার মাধ্যমগুলো বেশ চাপের মুখে ছিল। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ভয়েস অব আমেরিকাসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো এখন থেকে পূর্ণ সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অর্থে পরিচালিত স্বাধীন সংস্থা হিসেবে ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়ার (ইউএসএজিএম) আওতায় ভয়েস অব আমেরিকাসহ রেডিও ফর ইউরোপ, রেডিও ফ্রি এশিয়াসহ বেশ কিছু সংবাদ নেটওয়ার্ক বহির্বিশ্বে পরিচালিত হয়ে থাকে। ‘ফায়ারওয়াল’ নামের একটি সম্পাদকীয় ব্যবস্থাপনায় এসব সম্প্রচারমাধ্যম পরিচালিত হয়। বহির্বিশ্বে মার্কিন সম্প্রচারে সরকারি হস্তক্ষেপ থেকে সুরক্ষা দেওয়া সংক্রান্ত বিধিমালা ফায়ারওয়ালে উল্লেখ করা আছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে ভয়েস অব আমেরিকাসহ বহির্বিশ্বে পরিচালিত এসব সংবাদ প্রবাহে মার্কিন সরকারের গুণগান প্রচারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ক্ষমতার শেষ দিকে এসেও ভয়েস অব আমেরিকার সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন। পম্পেও বলেছিলেন, ভয়েস অফ আমেরিকা যেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যতিক্রমবাদ নিয়ে বেশি বেশি কথা বলে। মার্কিন প্রশাসনের ইতিবাচক সংবাদ বেশি করে সম্প্রচার না করার সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
ট্রাম্প প্রশাসনের সময় চাপে ছিল ইউএসএজিএম। স্বাধীন ও স্বতন্ত্র সংবাদমাধ্যমে ভূমিকা রাখতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নতুন প্রশাসন আন্তরিক হয়ে উঠেছে। ৬ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইউএসএজিএমের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কেলু চাওয়ের সঙ্গে সভা করেছেন।