স্বামীর কাছ থেকে টাকা আদায় করতে নিজ শিশু সন্তানকে গাছের সাথে নির্মমভাবে বেঁধে রেখেছেন মা সরুফা আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুন্ডা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে সরুফা আক্তারের সাথে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলা বজরা গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে তুষারের বিয়ে হয়। সরুফা ও তুষারের দাম্পত্য জীবনে ফাতেমা আক্তার নামে দেড় বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। আড়াই বছর সংসার করার পর তাদের মধ্যে মনমালিন্য সৃষ্টি হয়। এ কারণে স্ত্রী সরুফা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
বেশ কিছু দিন ধরে স্বামীকে টাকা পাঠানোর জন্য বিভিন্নভাবে বলে আসছেন সরুফা। তাতে কাজ না হলে গত ২৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল ৩টায় সরুফা আক্তার তার ব্যবহৃত ইমো নাম্বার থেকে স্বামীকে একটি ভিডিও পাঠান। ভিডিওতে দেখা যায় সরুফা আক্তারের বাপের বাড়ি (কুন্ডা) রাস্তার ওপর নিজ শিশু সন্তানকে কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে, রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রেখে নির্যাতন করছেন। মায়ের নির্মম নির্যাতনে কোনঠাসা শিশুটি কাঁদছে।
নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ‘আজকে বিকালে শুনেছি শিশু সন্তানকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছেন মা। বিষযটি খোঁজ খবর নিচ্ছি।’
এ ব্যাপারে শিশু সফুরার পিতা তুষার মিয়া বলেন, ‘এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নাসিরনগর থানায়সাধারণ ডায়েরি করেছি। পরে পুলিশ ও পারিবারিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। আমার স্ত্রী যে ঘটনা ঘটিয়েছে সে তার শাস্তি পেয়েছে।’
এ ব্যাপ্যারে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল কাদের বলেন, ‘সন্তানেরর বাবার জিডি মূলে স্ত্রীকে থানায় আনা হয়েছে। দুই পরিবারের লোকজনই থানায় এসেছিল। দুই পক্ষের লোকদের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’রাইজিংবিডি