সিলেটে গণমিছিলে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল, সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘গণমিছিল’ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারীরা শহরের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করেছে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পার্শ্ববর্তী আখালিয়া এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তাৎক্ষণিক আহত এবং আটককৃতদের নাম জানা যায়নি।

আন্দোলনকারীরা বলেন, সারা দেশের মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া ও ‘জনতার গণমিছিল’ শীর্ষক পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল আজ। এরই অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশের বাধার কারণে তারা সেখানে অবস্থান নিতে পারেননি। এরপর আখালিয়া এলাকার মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন। এসময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অনেক আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আহত হন।

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আন্দোলনকারীরা সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আখালিয়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেছিলেন। পুলিশ বারবার তাদের সরে যেতে অনুরোধ করেছে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থী ও পথচারীদের পাশাপাশি তিন জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি মিঠু দাস জয় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে ওসমানি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি করলে পুলিশ তাদের সরে যেতে বলে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে। পুলিশ সাত জনকে আটক করেছে।