সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর বাড়িতে আগুন

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

গতকাল শনিবার রাতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের বাড়ির দুটি ভবনে আগুন দেওয়া হয়।

আজ রবিবার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের মতলব উত্তরেরপরিদর্শক ইন্সপেক্টর নুরুল করিম বলেন, রাত ১১টার দিকে আগুনের খবর পাই। মায়া চৌধুরীর বাড়ির দুটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।

মতলব উত্তর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ কুমার বলেন, ‘রাতে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। আমাদের এসপি (পুলিশ সুপার) মহোদয়ের নির্দেশে যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর আমরা তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি, মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যার দিকে সাবেক এমপি মায়া চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাই। এরপর আমরা দ্রুত সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস নিয়ে যাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুটি বাড়ির নিচতলায় ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছিল। তবে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ কারণে আগুন নিচতলাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত সে বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।’

মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি সারোয়ার মজুমদার বলেন, ‘আমরা এটিকে ন্যক্কারজনক ঘটনা মনে করি। আমরা এটিকে এক বিন্দুও সমর্থন করি না। এ ঘটনায় আমাদের পরিবারের কোনো সদস্য কোনোভাবেই জড়িত নেই। আমাদের নেতা তারেক রহমান। আমরা কখনোই সহিংসতার রাজনীতি করি না। সহিংসতার রাজনীতিকে আমরা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিই না।’

কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপকৌশল হতে পারে! রাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিকের বাড়িতে আগুন দেয়া ফৌজদারি অপরাধ, প্রকৃত অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনুন।’

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে মায়া চৌধুরী আত্মগোপনে রয়েছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকায় একাদিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।