ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান এবার আরও সুনির্দিষ্ট করলো ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। এ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল দুমাস ধরে দিল্লির ভিভিআইপি লুটেনস বাংলো জোনে গোয়েন্দা ব্যুরো-আইবি’র সেফহাউসে রয়েছেন তিনি। ভেতরে ও বাইরে কড়া নিরাপত্তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। দিল্লি পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টরের বরাত দিয়ে এসব তথ্য প্রকাশ করে হিন্দুস্তান টাইমস। ইন্ডিয়া গেট ও তার আশপাশে লুটেনস বাংলো জোন এলাকা। দিল্লির ভিভিআইপি এই এলাকায়ই গোয়েন্দা ব্যুরো-আইবি’র সেইফ হাউসে রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পর শেখ হাসিনার অবস্থান আরো সুনির্দিষ্ট করে প্রকাশ করলো আরেক সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্ডিয়া গেট ও খান মার্কেটের কাছাকাছি এলাকায় বাংলো বাড়িতে রয়েছেন শেখ হাসিনা। সেখানে রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সন্দেহজনক কার্যকলাপ ও লোকজনের ওপর নিয়মিত নজরদারি রাখছে সাদা পোশাকে দিল্লি পুলিশের কমান্ডো ইউনিট। গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার স্বার্থে ওই বাড়ির নির্দিষ্ট ঠিকানা উল্লেখ করেনি হিন্দুস্তান টাইমস। তবে গত দুমাস ধরে যে তিনি ওই বাংলোতে আছেন, তা নিশ্চিত করেছে। দিল্লি পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টরের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস আরও জানায়, শেখ হাসিনাকে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটি থেকে দিল্লিতে আনার পর ওই সাব-ইন্সপেক্টরকেও নিরাপত্তা টিমে যুক্ত করে কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারা। এসময় তাকে খুব স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়- সেইফ হাউসের ঠিকানা যাতে কেউ না জানে। এমনকি দিল্লি পুলিশপ্রধান বা তার তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তাদেরও তথ্য দিতে নিষেধ করা হয়। যদিও দুই-তিন দিন পরই তাকে নিরাপত্তা প্রোটোকল থেকে প্রত্যাহার করা হয়। দিল্লির লুটেনস বাংলো জোন এলাকায় গোয়েন্দা ব্যুরোর এমন তিনটি সেইফ হাউস রয়েছে বলে জানা যায়, তবে কোনটির অবস্থানই ষ্পষ্ট নয়। গেল ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়। ভারত সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর অবস্থান ষ্পষ্ট করেনি।