মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন করা হয়।
এদিকে, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে আজ সকাল সোয়া ১১টার দিকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
দুপুরে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন একদল শিক্ষার্থী। দুপুর আড়াইটার পর তারা শহরের ভায়না মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভায়নার মোড় গিয়ে দেখা যায়, গোলচত্বর ঘিরে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ধর্ষণের বিচার চেয়ে তাদের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, উচ্চ আদালত এই মামলার বিচারের জন্য ১৮০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন। তারা এটা প্রত্যাখ্যান করছেন। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চান।
বিক্ষোভ চলাকালে মাগুরা থেকে ঢাকা, যশোর ও ঝিনাইদহ অভিমুখী সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটের যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। কয়েকজন পরিবহন চালক জানান, রমজানের সময় প্রচণ্ড গরম ও যানজটের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এর আগে, গতকাল শনিবার (৮ মার্চ) ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে আছেন। মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের গতকাল বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়।
মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ৮ বছর বয়সী শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ করে পরিবার। শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘ধর্ষণ মামলার চার আসামি কারাগারে আছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এখনো রিমান্ড শুনানি হয়নি।”