বন্যায় প্রাণহানি ১৫, পাঁচ জেলায় সেনা মোতায়েন

বন্যায় ফেনীসহ ১২ জেলার অনেক এলাকা এখনও যোগাযোগবিচ্ছিন্ন রয়েছে। কয়েকটি জেলায় পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতি এখনও উন্নতি হয়নি। বন্যায় তিন দিনে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্যার্তদের সহায়তায় পাঁচ জেলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। ফেনী জেলার শহরের সঙ্গে ছয় উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নেই বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক। কুমিল্লার গোমতীর বাঁধ ভেঙে বুড়িচং উপজেলার অন্তত ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে রাঙামাটি জেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। ঢাকার সাথে বন্ধ রয়েছে সিলেট ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ। বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টি ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মী পুর ও কক্সবাজার। উপজেলা ৭৭ উপজেলা বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/পৌরসভা ৫৮৯টি। ১১ জেলায় মোট ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৯ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ২৯৯ জন, মারা গেছেন ১৫ জন‌। পুরুষ ১৩ জন, নারী ২ জন। মারা যাওয়ার মধ্যে কুমিল্লায় ৪, ফেনীতে ১, চট্টগ্রামে ৪, নোয়াখালীতে ১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১, লক্ষ্মীপুরে ১ এবং কক্সবাজারে ৩ জন রয়েছেন। পানিবন্দি/ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য মোট ৩,১৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৩০ জন লোক এবং ১৮ হাজার ৯৬টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৬৩৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে। বন্যা আক্রান্ত জেলাসমূহের জেলা প্রশাসককে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে এক সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।