বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু

ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢল ও গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে দেশের ১১ জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কুমিল্লায় ৪, ফেনীতে ১, চট্টগ্রাম ২, নোয়াখালীতে ১, ব্রাহ্মাণবাড়ীয়া ১, লক্ষ্মীপুরে ১ ও কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন নারী রয়েছেন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বন্যা প্লাবিত ১১ জেলার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ফেনী। তবে সব জায়গায় ত্রাণ পৌঁছানো হয়েছে। ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা দুর্গত জেলাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। পর্যাপ্ত শুষ্ক খাবার পাঠানো হয়েছে।

উদ্ধার কাজে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, রবার স্কাউট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাসহ সাধারণ মানুষ উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এছাড়া ১ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বন্যায় দুই বিভাগের মোট ৪০টি উপজেলার ২৬০টি ইউনিয়ন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। বন্যাকবলিত এলাকায় ১ হাজার ১৯৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যাকবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং হাসপাতালগুলোতে জরুরি মেডিকেল টিমসহ পর্যাপ্ত ওরাল স্যালাইন, কলেরা স্যালাইন এবং অ্যান্টি-ভ্যানামসহ অন্যান্য ওষুধ রাখা হয়েছে। দুর্গত এলাকার সব স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাদের অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারির মাধ্যমে পরিস্থিতি অবনতির ক্ষেত্রে অগ্রিম প্রস্তুতি গ্রহণ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।