কলমাকান্দায় আসন্ন দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা সহায়তার ব্যবস্থা করেছে উপজেলা বিএনপি। ইতোমধ্যে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ছয় শতাধিক নেতাকর্মীর নামসংবলিত একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ খায়ের।
শনিবার থেকে প্রতি মণ্ডপে ১২ নেতাকর্মী নিরাপত্তা সহায়তায় থাকবেন। আর এ বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কলমাকান্দা উপজেলায় ৪৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আর পূজা ঘিরে কারিগররা শৈল্পিক ভাবনায় প্রতিমা তৈরি করেছেন। সবকটি মণ্ডপে নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন গেট ও প্যান্ডেল। বেশ কিছু পূজামণ্ডপে প্রতিমা রঙ করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর শৃঙ্খলা রক্ষায় মণ্ডপে মণ্ডপে গঠন করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস বলেন, আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে এ আয়োজনের। জগতের মঙ্গল কামনায় দেবীদুর্গা এবার দোলায় চড়ে মর্ত্যলোকে আসবেন। বিদায় নেবেন গজে চড়ে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল হিন্দু সম্প্রদায়ের সব লোকজনকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমরা যেন মনে রাখি সবাই আমরা এ দেশের নাগরিক। প্রত্যকেরই আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের। সংখালঘু বা সংখ্যাগুরু— এ ধারণা থেকে সবাইকে বের হয়ে সবার বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়াই বিএনপির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার সব পূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।