চেক ডিজঅনার: ই-ভ্যালির চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের কারাদণ্ড

যশোরে চেক ডিজঅনারের পৃথক দুই মামলায় ই-ভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং সিনিয়র ম্যানেজার মাসুদকে চার মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, যশোর শহরের ষষ্ঠীতলাপাড়ার ইমান আলীর ছেলে শামসুজ্জামান ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিতে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেন। দেড় মাসের মধ্যে মোটরসাইকেলটি সরবরাহের করার কথা থাকলেও তা দিতে ব্যর্থ হয় ইভ্যালি। এর পরও তারা মোটরসাইকেল দিতে ব্যর্থ হয়। তার পর একই বছরের ২৬ জুলাই সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার একটি চেক দেওয়া হয় শামসুজ্জামানকে। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি চেকটি নগদায়নের জন্য ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা নেই বলে ডিজঅনার করা হয়। ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়। কোনো জবাব না পেয়ে ওই বছরের ২৯ মার্চ আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী।

অপরদিকে, শামসুজ্জামান ই-ভ্যালি থেকে ২০২১ সালের ৫ মার্চ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের আরও একটি মোটরসাইকেলের অর্ডার করেছিলেন। সেটিও দিতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। ওই টাকার বিপরীতে ওই বছরের ৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেল ও সিনিয়র ম্যানেজার মাসুদ স্বাক্ষরিত একটি চেক প্রদান করেন তাকে। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে তাদের হিসাবে পর্যপ্ত টাকা না থাকায় ডিজঅনার হয়।

২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ই-ভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও সিনিয়র ম্যানেজার মাসুদকে লিগ্যাল নোটিশ দেন শামসুজ্জামান। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় শামসুজ্জামান ওই বছর ৭ এপ্রিল ই-ভ্যালির চেয়ারম্যান সিইও এবং সিনিয়ার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা করেন।

আদালত এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেককে ৪ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুইটি চেকের ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত তিনজনই পলাতক রয়েছেন।