ফাহিম হোসেন রিজু,দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বলগাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, গত ১২ বছর যাবত উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টিউশন ফি অর্থ প্রদান না করে এককভাবে আত্মসাৎ করেছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোভা ধারণকারী ও বিদ্যালয়ের সম্পত্তিতে অবস্থিত ২৬৫টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে বিক্রয়কৃত অর্থ যার মূল্য ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে। বিগত ১২ বছর যাবত উল্লেখিত অনিয়ম সমূহ ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে শিক্ষার মান উন্নয়নে কোনো প্রকার মাসিক ও ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক কিংবা বার্ষিক শিক্ষক বৈঠক অভিভাবক সমাবেশ কিংবা জনসংযোগমূলক কোনো কার্যক্রম এর আয়োজন করেননি।শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের মতামত ছাড়াই এমনকি সংশ্লিষ্ট শিক্ষক প্রতিনিধিদের অজ্ঞাতসারে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন করেন যা ম্যানেজিং কমিটি বিধিমালা বহির্ভূত। বিগত ১২ বছর যাবত বিদ্যালয়ের আবাদি সম্পত্তি অর্থের বিনিময়ে লিজ প্রদান করে অর্থ আত্মসাৎ করেন। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি যোগ সাজোশে, কৌশলে গোপনীয়তা রক্ষা করে তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও অন্যান্য পদে নিয়োগের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্য করেন। যা বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কোথাও কোনো কাজে লাগেনি। শিক্ষকের বি.এড স্কেল, উচ্চতর স্কেল এমনকি এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশ প্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির ক্ষেত্রে হয়রানি ও অর্থনৈতিকভাবে জোর পূর্বক কৌশলে অর্থ আদায় করেন। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে খরচের নাম করে অভিভাবকদের নিকট হতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অর্থ আদায় ও আত্মসাৎ করেন। অর্থ আত্মসাৎ ও নিজস্ব স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে একই ব্যক্তিকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সু-চতুরতা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে ৪ বার সভাপতি নিয়োগ পূর্বক উপরোক্ত অনিয়ম সমূহ সম্পন্ন করেন। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরীর এহেন দূর্নীতির বিরুদ্ধে উক্ত বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মচারী একযোগে স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রদান করেছেন বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।