গাজীপুরে শ্রমিক নিহতের জেরে মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের ৬ সদস্য আহত

গাজীপুরের সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় প্রাইভেটকারচাপায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস্ লিমিটেড নামের এক পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তাদের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় অজ্ঞাত গাড়ি চাপায় শ্রমিক নিহত হয়। এর কিছু সময় পর শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার সেল ছুঁড়ে ধাওয়া দিয়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। পরে শ্রমিকরা পুলিশ ও গাড়ি লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শ্রমিকদের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতের পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম।

আন্দোলনরত শ্রমিক, পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ ইফতারের জন্য দেড় ঘণ্টা সময় ছুটি দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরিবারের সঙ্গে ইফতার সেরে কারখানায় আসার সময় গাজীপুরের সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকার গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস্ লিমিটেডে কাজে যোগ দিতে কারখানার সামনের মহাসড়ক পার হওয়ার সময় অজ্ঞাত প্রাইভেটকারের চাপায় ওই কারখানার হেলপার সাবিনা ঘটনাস্থলে নিহত হন।

শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনা কারখানার কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে শিল্প পুলিশ, জয়দেবপুর থানা পুলিশ ও সালনা হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। এ সময় শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে কয়েকটি গাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।

পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে ধাওয়া দিয়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে রাত পৌনে ৯টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম বলেন, ইফতারের পরপর শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ শুরু করে। এ সময় আন্দোলনরত শ্রমিকদের মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। শ্রমিকদের সঙ্গে বহিরাগত কিছু লোক শ্রমিকদের মহাসড়ক না ছাড়তে নির্দেশনা প্রদান করে। একপর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা পুলিশ ও মহাসড়কের গাড়িগুলো লক্ষ করে ইট পাটকেল ছোড়ে। এতে পুলিশের এএসআইসহ ছয়জন আহত হন। এর মধ্যে চার পুলিশ সদস্যের অবস্থা গুরুতর।

তিনি বলেন, পরে টিয়ারসেল ছুঁড়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিলে রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশের ব্যাপক সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।