কোটা আন্দোলনে নিহত শিশুর সংখ্যা জানাল ইউনিসেফ

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনের সময় ৬৫ জনেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ। ইউনিসেফের বরাত দিয়ে শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতাবিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি নাজাত মাল্লা মজিদ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন।

বিবৃতিতে মাল্লা মজিদ বলেন, ‘সবশেষ যাচাইকৃত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ’ দমনে ৬৫ জনেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। বাংলাদেশের তরুণ ও শিশুরা সাম্প্রতিক বিক্ষোভের অগ্রভাগে ছিল। তারা অনেক কিছু অর্জন করেছে। কিন্তু এর জন্য তারা বিশাল মূল্যও দিয়েছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব এবং মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কাছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতার সব ধরনের ঘটনার পূর্ণ, স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি রেখেছেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি সহিংসতার শিকার, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক শিশুসহ তরুণদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতের ওপর জোর দেন।

এর আগে গত ২ অগাস্ট প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনার মাধ্যমে ইউনিসেফ জানিয়েছিল, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশে সহিংসতায় অন্তত ৩২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সিদের শিশু হিসেবে গণ্য করা এ সংস্থাটি শিশুদের সুরক্ষায় সরকারের সঙ্গে কাজ করে থাকে।

বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি নাজাত মাল্লা মজিদ শিশু ও তরুণদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রক্ষার জন্যও সরকারের প্রতি বিশেষভাবে আহ্বান রেখেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলন ১৫ জুলাই সহিংসতায় রূপ নেয়। এরপর ১৬ জুলাইয়ে ব্যাপক প্রাণহানির পর সেই ধারা ৫ অগাস্ট সরকার পতন পর্যন্ত চলতে থাকে।