ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন: ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সরফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বাকি প্রস্তুতি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে।

শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বি যারা আছেন তারাই করে থাকেন। তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা তাদের সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করে থাকি। এক সময় তারা নিজেরাই সব কিছু করতেন। ইজতেমার পরিধি বাড়ার কারণে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এটা সাধারণত ইজতেমার মুরুব্বি যারা আছেন তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা তাদের ডিমান্ড অনুযায়ী সহযোগিতা করে থাকি।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন ইজতেমাকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম জামাত বলা হয়ে থাকে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মুসল্লি এখানে উপস্থিত হন। এজন্য তাদের কিছু মৌলিক চাহিদা রয়েছে।  টয়লেট, স্বাস্থ্য, খাবার পানি এসব বিষয়ে আমরা তাদের সাপোর্ট দিয়ে থাকি।

তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তর একটা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। এছাড়া পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ইজতেমার প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড ঠিকমতো এগোচ্ছে। আমরা আশা করছি, এজতেমা শুরুর আগে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারব। এজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্ব শুরুর পূর্বে ইজতেমা মাঠের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রের যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়- সেই ব্যাপারে তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বিদের দৃষ্টি রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে। প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট তাদের নিজ নিজ জিনিসপত্র তাদের নিজেদের হেফাজতে রাখবেন।

তিনি বলেন, ইজতেমা কর্তৃপক্ষের ডিমান্ড ছিল চটের পরিবর্তে টিনের। তাদের চাহিদা অনুযায়ী সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইজতেমায় যাতে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে আসতে ও ইজতেমা শেষে যেতে পারেন- সেই বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।

পরিদর্শনের সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শফিউল আজম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরিফিনসহ জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন এবং পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।