সারারাত অনশনে রাবি শিক্ষার্থীরা, দুপুরে জুস নিয়ে হাজির উপাচার্য!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবের সঙ্গে আলোচনার পর অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জুস খাইয়ে অনশন ভাঙাচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। ছবি: সময় সংবাদ

জুস খাইয়ে অনশন ভাঙাচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব।

 বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন তিন শিক্ষার্থী। সারা রাত অবস্থানের পর সকাল থেকে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংহতি জানিয়ে অনশনে যোগ দেন।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা পিছিয়ে পড়া কোনো জনগোষ্ঠী নন। সেকরণে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি তাদের।

অনশনকারীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স ও হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ। শুক্রবার সকালে বিভিন্ন বিভাগের আরও শিক্ষার্থী যোগ দেন।

আন্দোলনের পরিসর বড় হলে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান ও আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সেটি প্রত্যাখ্যান করেন।

পরে দুপুরে অনশনস্থলে এসে বিষয়টি নিয়ে রিভিউ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। এতে শিক্ষার্থীরা অনশন প্রত্যাহার করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, একদিন সময় দেয়া হয়েছে, এরমধ্যে পোষ্য কোটা বাতিল না হলে আবারও অনেশনে বসব।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, বিষয়টি উপাচার্যের একার নয়। ভর্তি কমিটির সঙ্গে এনিয়ে আলোচনার জন্য কমিটি করা হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


তাদের অন্য দুটি দাবি হলো ভর্তি পরীক্ষায় সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করা এবং ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অন্যায্য আবেদন ফি আদায় বন্ধ করতে হবে।