ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও একাডেমিক অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের এক শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই অভিযোগে আরেক শিক্ষককে অনুরূপ কাজকর্ম না করার ব্যাপারে লিখিত বিবৃতি (মুচলেকা) দিতে বলা হয়েছে। তারা দুজনই গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী।
সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষক হলেন সহযোগী অধ্যাপক ড. মুনীর উদ্দিন আহমেদ ওরফে টোভেল। অন্যদিকে আনীত অভিযোগ পুনরাবৃত্তি না করার লিখিত বিবৃতি (মুচলেকা) দেয়ার আদেশ পাওয়া শিক্ষক হলেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনিন চৌধুরী ওরফে জোশি।
এ বিষয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, ওই দুইজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা বিভাগে অভিযোগ জানিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অধ্যাপক আমিরুল মোমেনিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, উনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, ওই রকম কাজ উনি ভবিষ্যতে আর করবেন না, এই মর্মে একটা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি (মুচলেকা) দিবেন তিনি। আর ড. মুনির উদ্দিন আহমেদকে সাময়িকভাবে সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। উনাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর একাডেমিক অনিয়ম ও অযোগ্যতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেনকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি। তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্তে গত ১৮ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়া, বিভিন্ন অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলামকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে স্ব স্ব বিভাগ।