দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পেয়ে কর্মরত শিক্ষকদের তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গতকাল রবিবার অধিদপ্তরের যুগ্ম-সচিব মো. লুৎফর রহমানের সই করা জরুরি চিঠিতে এ তথ্য জানাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দেশের সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান ও সহকারী শিক্ষক পদে কতজন শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন, সে বিষয়ে সংযুক্ত পত্রের ছক মোতাবেক একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য আগামী ২৮ আগস্ট দুপুর ১২টার মধ্যে নিয়োগ শাখার ই-মেইলে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
ই-মেইল ঠিকানাটি হলো- ad.recruitdpe@yahoo.com। এই ঠিকানায় এক্সেল ফরম্যাটে সফট কপি ও পিডিএফ কপি মেইল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি চাকরিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে এখন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানতে চেয়েছে। ১৫ আগস্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সচিব/সিনিয়র সচিবদের কাছে এ তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে সনদ দেওয়া হয়েছে। সেই সনদ দিয়ে অনেকে চাকরি নিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার পদক্ষেপ নিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, ‘যারা ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে, ক্ষমতা দেখিয়ে কোটা সুবিধা নিয়ে চাকরি পেয়েছে তাদের বের করে চাকরি বাতিল করা হবে। একইসঙ্গে সব ভুয়া মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকাও করবে সরকার।’