সাবেক ছাত্রলীগকর্মী মাসুদ কিবরিয়াকে সভাপতি ও পরমা মোস্তফাকে সাধারণ সম্পাদক করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের কমিটি গঠন করা হয়। নতুন এই কমিটি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে দেশ রূপান্তরসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে রবিবার (২৭ অক্টোবর) মাসুদ কিবরিয়ার ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মুন হোসেন স্বাক্ষরিত এক বার্তায় নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কতিপয় গণমাধ্যম ছাত্র ইউনিয়ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মাসুদ কিবরিয়াকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত করে সংবাদ প্রকাশ করে যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মাসুদ কিবরিয়া কখনোই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেননি। বরং ছাত্রলীগ না করার কারণে ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি ছাত্রলীগ কর্তৃক তাকে মতিহার হল থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কিবরিয়ার সংশ্লিষ্টতা উল্লেখ করে তারা বলেন, চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাসুদ কিবরিয়া ছিলেন অন্যতম সংগঠক যা রাবি ক্যাম্পাসে সমাদৃত। স্বৈরাচারবিরোধী সেই আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় ছাত্রলীগ কর্তৃক তাকে নানাবিধ হেনস্থার শিকার হতে হয়, এমনকি তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
কিবরিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই রাজনৈতিক বিরোধিতা হতে হয় যুক্তিসঙ্গত, রাজনৈতিক আদর্শিক কারণ সম্বলিত। কিন্তু সেটি যখন কোনো জুজুর কথা উল্লেখ করে শুধুমাত্র বিতর্কিত করে তোলার জন্যই মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয় তা আরেকটা অপরাজনীতিরই নামান্তর। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর প্রথম বর্ষে থাকা অবস্থায় জোরপূর্বক ছাত্রলীগের মিছিলে নিয়ে যাওয়ার পাঁচ বছর পর তাকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে ছাত্রলীগের কর্মী বানিয়ে দেওয়া নিতান্তই কুরাজনীতি।