মহান বিজয় দিবস। যথাযথ মর্যাদা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। কর্মস‚চীর মধ্যে ছিল সূর্যোদয়ের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শোভাযাত্রা, স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের স্মরণে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসটির উদযাপন শুরু হয়। এরপর সকাল ১০ টায় শোভাযাত্রা বের করা হয়। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা-এর নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক হয়ে যাত্রা শুরু করে চত্বরের উত্তর পাশে অবস্থিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা। আলোচক হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াছ হোসেন, সেন্টার ফর ইন্টার ডিসিপ্লিনারী রিসার্চ-এর ডিরেক্টর প্রফেসর ড. এএইচএম রহমতুল্লাহ ইমন এবং ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর মো. শহিদুর রহমান।
আলোচনা পর্বের শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে দেশাত্মবোধক গান।
আলোচনা অংশে বক্তারা বিজয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, ‘আজ বাঙালি জাতির গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকার স্থান পাওয়ার দিন। যে সব বীর সন্তানের প্রাণের বিনিময়ে এই পতাকা ও মানচিত্র এসেছে, তাদের শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমেই এই দিবসের মহিমা প্রকাশ পাবে। এ অর্জন একদিনে সম্ভব হয় নি। বর্তমান প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে এবং দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।’
শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘স্বাধীনতায় প্রাণ দিয়েছেন সকল বীর সন্তানের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সংগ্রাম। এরপর ১৯৬৬ সালে ছয় দফা ও ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। তিনি অতিথি, আয়োজক কমিটি ও উপস্থিত সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, কো-অর্ডিনেটরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।