বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

সুপর্ণা দাশ নামে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত আনুমানিক রাত ৪টায় সুপর্ণা দাশকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শনিবার দুপুর একটায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুপর্ণার মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

সুপর্ণা দাশ মেহেদীগঞ্জের পাতারহাট সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।

কোতয়ালি থানা পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সুপর্ণা শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাসায় ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ফাঁস দেওয়ার ১০ মিনিট পূর্বেও পরিবারের সাথে স্বাভাবিক কথা বলছিলেন তিনি। গলায় ফাঁস দেওয়ার পরপরই স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয় তাকে। সেখানে তারা কিছু সময় চিকিৎসা দেওয়ার পরে ডাক্তার তাকে ঢাকায় নিতে বলেন। ঢাকা নেওয়ার পথে তার অবস্থা বেশি খারাপ হলে আবার শেরে বাংলায় আনা হয়।তখন রাত ৪টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা শুনেই হাসপাতালে ছুটে যাই। সে আমার বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। তার নিজ গ্রামে আত্মহত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি।