সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে সহকারী প্রধান শিক্ষক নামে একটি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পদটি সৃষ্টিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।
৬৫ হাজার ৫৬৬টি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে ৯ হাজার ৫৭২টি পদ সৃষ্টির জন্য সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তবে নতুন সৃষ্টি করা এই ৯ হাজার ৫৭২টি পদ শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে না কি নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১ আগস্টের স্মারকের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষকের ৯ হাজার ৫৭২টি পদ সৃজনে কয়েকটি শর্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নির্দেশক্রমে জ্ঞাপন করা হলো। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলো হলো—অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়ন অনুবিভাগের সম্মতিসহ সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে;
প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সুপারিশ নিতে হবে;প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন নিতে হবে;পদ সৃজনের আদেশ জারির আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর অনুমোদন নিতে হবে;সৃজনকৃত পদগুলো পদোন্নতিযোগ্য হওয়ায় আবশ্যিকভাবে সৃজিত পদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করে পদোন্নতির প্রক্রিয়াকরণ করতে হবে;পদ সৃজনের পৃষ্ঠাঙ্কিত জিওর কপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগে পাঠাতে হবে এবংপদ সৃজনের সরকারি মঞ্জুরিপত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আরোপিত সব শর্ত আবশ্যিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় যেটা অন্তর্ভুক্ত হবে সেটা মেনেই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হবে। বৈঠকে যে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে সেটা মেনেই আমরা নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করব এবং এটি আমাদের নিয়োগ বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।