রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিজ বিভাগে পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগ নেতার খবর পেয়ে রাবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আইবিএ চত্বর থেকে তাকে আটক করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহযোগিতায় মতিহার থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন।
আটককৃত ছাত্রলীগ নেতা হলেন, জুবায়ের জিহান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ -এর ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের আইবিএ শাখার যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা ডা. এফ এম এ জাহিদ হলেন আওয়ামীলীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ও স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি।
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা জিসানের বহাল তবিয়তে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করছে এবং পরীক্ষা দিচ্ছে এরকম তথ্যের ভিত্তিতে রাবি ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য শেখ নুর উদ্দিন আবির, আহবায়ক সদস্য আবির হাসান হিমেল ও শাহরুখের নেতৃত্বে প্রক্টরের এর সাহায্য নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন তাকে।
পরে প্রক্টর দপ্তরের মাধ্যমে মতিহার থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। পুলিশে সোপর্দ করার সময় আইবিএ এর পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য জিসানের সাথে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের যোগসূত্র আছে। নিষিদ্ধ সংগঠন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিক দত্তের সঙ্গে সে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে এবং গতকাল রাতে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ তাদের অবৈধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাতের আঁধারে মিছিল করে এবং অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে।
এবিষয়ে আইবিএ এর পরিচালক অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম জানান, “আমরা ওর রাজনৈতিক কোনো পরিচয় জানতাম না। ও একজন শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। আজকে কয়েকজন শিক্ষার্থীরা সকালে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা হওযায় তাকে পরীক্ষার পর আটক করে। আমি তখন প্রক্টর অফিসকে জানাই এবং তারা আসলে ওর পরীক্ষা শেষে তাকে প্রক্টরিয়াল বডির মাধ্যমে পুলিশ কাছে সোপর্দ করি।
এখন তাঁকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে কিনা প্রশ্নে তিনি জানান, “আমি সাড়ে ৯টার দিকে থানায় ফোন করেছিলাম। ওসি বাইরে থাকায় তাকে ছাড়ার বিষয়ে সেরকম কিছু বলেননি। পরে ভারপ্রাপ্ত কমকর্তাকে ফোন করেও আমি সেরকম কিছু জানাতে পারিনি।