‘নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই’

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, চলতি অর্থবছরের আর একমাসেরও কম সময় অবশিষ্ট রয়েছে। এই স্বল্প সময়ে নতুন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই।

রোববার (৯ জুন) সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রী জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর আলোকে কাম্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের হার, প্রাপ্যতা ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এমপিওভুক্ত করার কাজটি বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অটোমেশনের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। সারাদেশে এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরের আর একমাসেরও কম সময় অবশিষ্ট রয়েছে। এই স্বল্প সময়ে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই। বর্তমানে সারাদেশে ৪ হাজার ৬১৩টি এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এমপি মো. সিদ্দিকুর রহমান পটোয়ারীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। বেসরকারি শিক্ষকদের অবসরভাতা ও কল্যাণভাতা প্রাপ্তিতে বিলম্বের সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিক রয়েছে। এ খাতে পর্যাপ্ত অর্থসংস্থান না থাকায় মূলত বেশি সময় লাগছে এবং সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট হতে অবসর উত্তরকালে শিক্ষকগণের প্রাপ্য অর্থ যেন দ্রুততম সময়ে পেতে পারেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সমস্যার উত্তরণে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং গঠিত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।