আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারি তিতুমীর কলেজকে ‘স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়’ করা সম্ভব কি না, সে বিষয়ে সাত কর্মদিবসের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটি ‘পুরো বিষয়ের’ ফিজিবিলিটি টেস্ট (বাস্তবায়নযোগ্যতা যাচাই) করবে।
সোয়া দুই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে অংশ নেন ১৪ জনের একটি প্রতিনিধিদল। আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
বৈঠক শেষে ড. এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়া খুব কঠিন। তবে উত্তরাঞ্চলে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এ ছাড়া তিতুমীর কলেজের ১০ একর জমি রয়েছে। কমিটি সব বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত জানাবে।’’
এর আগে, দুপুরে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল বৈঠক করতে সচিবালয়ে যায়। সেখানে ছিলেন- মাহমুদ হাসান মুক্তার, মোশাররফ রাব্বি, নেয়েক নূর মোহাম্মদ, আব্দুল হামিদ, নূরুদ্দিন জিসান, মতিউর রহমান জয়, জাহাঙ্গীর সানি, মেহেদী হাসান মাল, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ বেল্লাল, আল নোমান নিরব, হাবিবুল্লাহ রনি, তোয়াহা ও কাউসার।
১৯ নভেম্বর সকাল থেকেই মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ক্যাম্পাসের ভেতরে ফটকের কাছে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ‘ক্লোজডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন।
বৈঠকের পর এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিনিধিদলের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তারা সন্ধ্যা ৭টার দিকে ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করবেন।