‘এখনো বার্তা না পাওয়া’ শিক্ষকরা আন্দোলনেই খুঁজছেন সমাধান

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনের পথেই থাকছেন। যৌক্তিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে স্থগিত হওয়া বৈঠক নিয়েও আর কোনো বার্তা পাননি আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এই আন্দোলনের সমন্বয় করছে। শিক্ষকদের পেনশন আন্দোলনের ফলে দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষের উদ্যোগও নেই। এমন পরিস্থিতিতে কবে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে শিক্ষার্থীদের। শনিবার বিকাল পর্যন্ত সরকার পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে কোনো ধরনের বার্তা পাননি বলে ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।

ঢাবি শিক্ষকদের এ নেতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘যে বৈঠকের কথা বলা হচ্ছিল সেটি কেন স্থগিত হলো তাও জানি না; আবার আজ (শনিবার) বিকাল পর্যন্ত বৈঠকের বিষয়ে কোনো বার্তাও পাইনি।’ এক প্রশ্নের জবাবে জিনাত হুদা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণ হয়নি কিংবা কোনো ইতিবাচক পরিবর্তনও হয়নি। ফলে আমাদের ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের আন্দোলন চলছে। এতগুলো ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, সেখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জড়িত; বাধ্য হয়েই আমরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি।’ ‘আমাদের আন্দোলনের একটি যৌক্তির পরিণতি হলেই সমাধানের পথ আসবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এত বড় একটা অচলাবস্থা এবং অরাজকতা তৈরি হলো; যারা প্রশাসনে আছেন তারা গুরুত্বের সঙ্গে অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান করবেন বলেই আমরা আশাবাদী’—যোগ করেন জিনাত হুদা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন বলেই জানালেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘যে বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল সেটি স্থগিত হওয়ার পর এখন (শনিবার সন্ধ্যা) পর্যন্ত কোনো ধরনের বার্তা পাইনি। তাই আমরা অপেক্ষায় আছি। আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’