গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ৬৫ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় একটি অপ্রীতিকর ঘটনার গুঞ্জন উঠেছে।বিভিন্ন গনমাধ্যমে একজন শিক্ষককে মারার এবং হেনস্তা করার নিউজ প্রকাশিত হয়।এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ৭ এপ্রিল একটি প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়।
জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো: লুৎফর রহমান সাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত গত ৬/৪/২০২৩ তারিখের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় একজন শিক্ষককে নাজেহাল করার বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরটি শিক্ষক সমিতির গোচরীভূত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে একাডেমিক কাউন্সিলের উক্ত সভায় আমাদের একজন সম্মানিত সহকর্মী ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বক্তব্যের এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে এজেন্ডা বহির্ভূত বক্তব্য দিতে থাকেন এবং টেবিল চাপড়িয়ে উত্তেজনাকর ও অনাকাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টি করেন। এ অবস্থায় সভায় উপস্থিত সহকর্মীরা তাঁকে শান্ত হওয়ার জন্য বলেন এবং এক পর্যায়ে কয়েকজন সহকর্মী তাঁর হাত ধরে আসনে বসতে অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে উক্ত সহকর্মী তাঁর নিজের ভুল বুঝতে পেরে সভায় উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। এরপর উপাচার্য মহোদয় যথাযথভাবে সভা পরিচালনা করেন। এ বিষয়টিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভিন্ন পত্রিকায় অতিরঞ্জিত ও ভুলভাবে উপস্থাপন/সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা খুবই দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই পরিষদের উক্ত সভায় কোন ধরনের লাঞ্ছনার/হেনস্থার ঘটনা ঘটেনি।
প্রতিবাদলিপিতে আরো বলা হয়, চলমান নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তির আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপকৌশল হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকরা বিষয়টিকে উদ্বিগ্নতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে। যে বিষয়টি উক্ত সভাতেই নিষ্পত্তি ঘটেছে সেটিকে নিয়ে জল ঘোলা করায় জবিশিস মর্মাহত এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পরিশেষে সুস্পষ্টভাবেই জানাতে চাই যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও একাডেমিক স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলনে সাতশত সদস্যের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিবার ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায় ঐক্যবদ্ধ।