কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপনকে স্বাগত জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে। পাশাপাশি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আট দফা দাবি না মানা হলে আবার মাঠে নামার হুঁশিয়ারিও দেন তারা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা আহত এবং নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এই ঘোষণা দেন আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীরা।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী মোকাররম হোসাইন বলেন, এখানে তৃতীয় পক্ষ এসে আমাদের অহিংস আন্দোলনকে সহিংস করে তুলেছে। তাই আমরা তৃতীয় পক্ষকে কোনো সুযোগ নিতে দেব না। আমাদের আন্দোলনকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করা হবে, এ সুযোগ আমরা কেউকে নিতে দেব না। আমাদের আট দফা দাবি নিয়ে সরকার ইতোমধ্যে কাজ করছে, আমরা চাই তাড়াতাড়ি আমাদের দাবি মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যবস্থা করা হোক। আমাদের দাবি যেহেতু মেনে নেওয়া হচ্ছে তাই আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে, আমরা আবার আন্দোলনে ফিরব।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী তোফায়েল আহমেদ তপু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা কখনো অগ্নিসংযোগ বা জ্বালাওপোড়াও এর সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে না। তৃতীয় পক্ষ যদি এ কাজ করে থাকলে তার ভিডিও ফুটেজসহ নানা প্রমাণ রয়েছে। যারা আসলে এ কাজের সাথে জড়িত, তাদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তবে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেন হয়রানি করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান তিনি।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী রেজোয়ান গাজি মহারাজ, সুজন ভৌমিক ও মনিমুল হক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।