অস্ত্রভর্তি ট্রাংক সরানোর অভিযোগে ধরা রাবির দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বখশ্ হল থেকে ছাত্রলীগের অস্ত্রভর্তি ট্রাংক হলের বাইরে অন্যত্র সরানোর অভিযোগে সংগঠনটির দুজন কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তবে অভিযুক্তদের দাবি ওই ট্রাংকটিতে আরেক ছাত্রলীগ কর্মীর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিল। আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ৪ টার দিকে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ছাত্রলীগের কর্মীরা হলেন, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত হাসান ও দর্শন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাকসুদ ভুইয়া। সিফাত হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মেশকাত হাসানের অনুসারী। মাদার বখশ হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রবিবার রাতে সিফাত এবং মাকসুদের সহায়তায় রাসেল নামক আরেক ছাত্রলীগ কর্মীর মাধ্যমে হলের ২০১ নং কক্ষ থেকে একটি অস্ত্রভর্তি ট্রাংক হলের বাইরে সরিয়ে ফেলা হয়। তবে অভিযুক্তদের দাবি ওই ট্রাংকটিতে রাসেলের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিল। হলের একাধিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত ১১ টার দিকে হলের ১৬১ নং কক্ষ থেকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সিফাতকে ধরে টিভি রুমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ১৬২ নং কক্ষে ছাত্রলীগ কর্মী মাকসুদ ভুইয়ার উপস্থিতির কথা জানতে পারেন তারা। এসময় মাকসুদের কাছে ২০১ ও ২০২ নং কক্ষের চাবি পাওয়া যায়। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গত শুক্রবার হলে আসার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাতের সাথে যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেন সিফাত। পরে রাত দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত দুজনকে গাছের সাথে বেধে রেখে হলের সাবেক আবাসিক শিক্ষক ও ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনককে জানান। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করলে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে অভিযুক্তদের নিয়ে যান। এসময় মাকসুদের ১৬১ নম্বর কক্ষে লোহার রড পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ড. আমিরুল ইসলাম কনক বলেন , হল থেকে অস্ত্র সরিয়ে ফেলেছে এমন সন্দেহে শিক্ষার্থীরা দুইজনকে আটক করে আমাকে জানিয়েছে। আমরা দেখেছি বিভিন্ন হলের রাজনৈতিক কক্ষগুলোতে অস্ত্র রয়েছে । সেই ধারাবাহিকতায় মাদারবখশ হলেও অস্ত্র থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ওরা সেই অস্ত্র গুলো হয়তো বের করে দেয়ার চেষ্টা করেছে । এটা কারো পরামর্শে বা কারো সাথে যোগাযোগ করে এসেছে কিনা তা যাচাই এবং ওদের নিরাপত্তার জন্য আমরা ওদেরকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছি। প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের দুইজনকে হল থেকে আটক করে আমাদের হাতে সোপর্দ করেছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো